



কে বা কারা বলেছিল কাটোয়া না কালনা,
ছিদু ময়রা বেচে নাকি জিলিপিরই ডালনা।
রুটি লুচি তন্দুরি,
অথবা ভাতের ঝুড়ি –
চোখ বুজে খেয়ে যাও একটুও ঝাল না ।


মধ্যরাতে ঘুমের ঘোরে শিরোমণি খুড়ো,
হঠাৎ করে চেঁচিয়ে ওঠে খাব মাছের মুড়ো।
গিন্নি তেনার স্বাস্থ্যবতী
রাঁধবে শুধুই কচুর লতি –
কস্তাপেড়ে কাপড় পরা মাথায় খোঁপার চুড়ো।



ভর দুপুরে খেতে গেছি উল্টোডাঙা বাজারে,
খাবার দোকান নাম দিয়েছে ‘আজা রে, খা যা রে’।
গরমাগরম পোলাও দমকা –
রায়তা সাথে চিঙড়ি চমকা,
গ্যারান্টি দেয় নড়বে পাতে, চিঙড়ি এমন তাজা রে।
বামুন ঠাকুর খুড়ো আমার রাঁধেন নাকি ভাল,
খুড়িমা মোর ক্যাশে বসেন – দোকান করে আলো।
পাঁচশ-হাজার ঝামেলা নেই –
খাবার মেলে ধার-বাকিতেই,
রবিবারে চীনে-স্পেশাল পয়সা যদি ঢালো।

চায়নার চাউমিন ইতালির পাস্তা,
তাই দিয়ে শেষ করে সকালের নাস্তা।
দুপুরেতে খেয়ে ভাত,
বিছানাতে কুপোকাৎ –
রাতে খায় ছাতু দেওয়া কচুরিটা খাস্তা।


সোমবারেতে বিন্তি খুড়ির কুমড়ো খেতে মানা,
কচুর শাকের ঘণ্ট রেঁধে দিচ্ছে ছোলার দানা।
ডালের সাথে বেগনি ভেজে,
মশলা দিয়ে পানটি সেজে –
উপোস করে সন্ধ্যে বেলায় খাবে বেলের পানা।


খাদ্যরসিক লিমেরিক
(Limericks on Food)