




শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখি কত রকম খাদ্য,
ব্যাপারটা কি জানতে পেলুম, ভূতের বাপের ছাদ্দ।
সেজে গুঁজে পেত্নী পিসি,
সাদা দাঁতে কালো মিশি –
ঘটনা সব Relay করে পান্ত থেকে আদ্য।
পেত্নী পিসি রান্না করে শুঁটকি মাছের ছেঁচকি,
থরে থরে সাজিয়ে রাখে ডজন খানেক ডেচকি।
ভূতেরা সব ঝাঁকে ঝাকে,
লঙ্কাপোড়া টেনে নাকে –
খাবার পরে চোখ উলটে তুলতে থাকে হেঁচকি।




শাঁকচুন্নির বিয়ে
শুনতে পেলুম এইতো সেদিন ক্যাওড়াতলায় গিয়ে,
চৈত্র মাসের অমানিশায় শাঁকচুন্নির বিয়ে।
খবরটা জোর হাওয়ায় ভাসে,
গায়ে গোবর ফাগুন মাসে –
শ্বশুর নাকি মুখ দেখেছে হাড়ের মালা দিয়ে।
শাঁকচুন্নির বিয়ে হোল পাত্র নাকি কানাই?
কানাই না তো! মামদো ছিল, সেই কথাটাই জানাই।
কানাই হ’ল মামদো ব্যাটার,
মেজো ছেলে – সেজো জ্যাঠার।
মামদোবাজি – যা খুশী সব ইচ্ছে মতো বানাই?
শোনরে সবাই বলি তোদের, মামদো কানাই নয় –
কানাই হ’ল সুবোধ ছেলে ধম্ম করে ভয়।
মামদো ছিল ঘোড়েল ব্যাটা,
মহা ফিচেল, মহা ঠ্যাটা –
নাম ভাঁড়িয়ে কানাই হয়ে পাত্র সেজে রয়।
বিয়ে হ’ল শাঁকচুন্নির মামদো ভূতের সাথে,
ঘটা করে শাঁখ বাজিয়ে সিঁদুর দিয়ে মাথে।
বিয়ের পরে বাসর ঘরে,
ভূতেরা সব নেত্য করে –
মনের দুখে কানাই একা বঁড়শিতে মাছ গাঁথে।


ভৌতিক লিমেরিক
(Ghostic Limerick)